গ্রীষ্ম কালে ঘর্মগ্রন্থি ( Sweat glands) অবরুদ্ধ হয়ে ঘাম শরীর থেকে বের হতে না পারলে লালচে ছোটছোট দানাদানা রেশ দেখা যায়।
অনেক সময় চুলকানি হয়, পানির মত রস বের হয়। সব বয়সী মানুষের দেখা গেলেও বাচ্চাদের একটু বেশি হয়।কারন তখন তাদের sweat gland developing হয়।
ঠান্ডা জায়গায় বা পরিবেশে থাকলে, ঢিলেঢালা কাপড় পরলে এমনিতেই চলে যায়।
অনেকে ঘামাচি পাউডার ব্যাবহার করে, এতে অনেক সময় হীত বিপরীত হয়। ঘর্মগ্রন্থি গুলোর মুখ বন্ধ হয়ে ঘামাচি আরো বেড়ে যায়।বাজারে কিছু Cool powder বের হইছে।যা শরীরে দিলে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা অনুভূত হয়।
এগুলোও পুরোপুরি নিরাপদ না।
সাধারণত এর জন্য ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এমনিতেই চলে যায়।
কিন্তু যদি না যায় তাহলে হোমিওপ্যাথিক কিছু ঔষধ আছে, যেগুলো সিম্টম অনুসারে ব্যাবহার করলে দ্রুত সমস্যা সমাধান পাওয়া যায়।
তার আগে লক্ষনীয় ব্যাপার হল। ঘামাচির সাথে যেন আমরা Measles আর Chicken pox কে মিলিয়ে না ফেলি।
নিচের ছবি দুটি ভালমত খেয়াল করি।এখন রেপার্টরীর কিছু ছবি দেয়া হচ্ছে।এগুলো সিন্থেসিস এবং কেন্ট রেপার্টরী থেকে নেয়া।
সবশেষে খুব স্বল্প বর্ণনায় মেডিসিনের বর্ণনা।যেগুলো কোন রোগীর ভিতর থাকলে আমরা উক্ত মেডিসিনটি দিতে পারব।
Aconite বাচ্চাদের যদি হঠাৎ করে ঘামাচী হয় বিশেষত ১ বছরের নিচের বাচ্চাদের।
মৃদু চুলকানি হয়, এরজন্য ছটফট করে। বদ্ধ ঘরের ভিতরে থাকলে তার সমস্যা বাড়ে এবং খোলা বাতাসো গেলে কমে যায়। এরকম লক্ষণ পেলে Aconite 30, প্রেসক্রিপশন করা যাবে।
Apis mel শরীরে বিশেষ করে পিঠে অসহ্য যন্ত্রনা সহ জ্বালাপোড়া করে। চুলকানোর পরে ঘামাচি গুলো ফুলে যায়।
রোগী ঘামাচির জন্য বারংবার গোসল করতে চায়, তাতে তার সমস্যা কমে যায়।
এই সমস্ত রোগীর এলার্জীও দেখা যায়।
30/200 শক্তির ঔষধ দিতে পারি। যদি এলার্জী থাকে তাহলে LM/2 পটেন্সি ব্যাবহার করা নিরাপদ।
Belladonna লালচে ফুস্কুড়ির মত দেখা যায়।ঘামাচির মাথাগুলো মনে হয় পানিতে ভর্তি। চুলকালেই রস বের হয়ে আসবে। হাত পা ঠান্ডা থাকে কিন্তু মাথা অনেক গরম। প্রচন্ড গরমের দিনে যদি এই সিম্টম গুলো দেখা যায় তাহলে বেলাডোনা ৩০/২০০ দেয়া যাবে।
Rhustox লালচে,ফোলাভাব প্রচন্ড চুলকানী। ভেসিকল গুলো রসপূর্ণ বেশি হবে। চুলকানির পরে দাগ হয়ে যায়। 30/200 শক্তির ঔষধ দেয়া যাবে।
Natrum Mur গরমের ভিতর বা রোদ্রে কাজ করে ঘামাচী হয়। প্রচন্ড চুলকানী থাকে রোদে গেলে সেটা আরো বেড়ে যায়। এরজন্য সবসময় বাতাসে থাকতে চায়। শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। ঘামের ফলে শরীরের জ্বালা অনুভব হয়।
Sulphur কোন ঔষধ দিয়ে ভাল রেজাল্ট না পেলে সালফার তখন দিতে হয়। রাতের বেলা ঘামাচির চুলকানি বাড়ে।চুলকিয়ে রক্ত বের করে ফেলে। শরীরে প্রচুর দূর্গন্ধ।নিজের কাছেই অসহ্য লাগে। হাত পায়ের তালু জালাপোড়া করে।
ঘুমানোর আগে হাত পা ধুয়ে আসে।শীতের দিনের হাত পা কম্বলের বাইরে রাখে।
এটা একটা Constitution Medicine.
তাই দেয়ার আগে সচেতন হওয়া চাই।
ঘামাচির জন্য LM/2 শক্তি ব্যাবহারের পরামর্শ দিব।